প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ভর্তি যোগ্যতা

 প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ভর্তি যোগ্যতা

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২ পরীক্ষা খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে। তাই আপনি যদি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠেন, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলছে। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হতে হলে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২ পরীক্ষার যোগ্যতা, পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাসসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে আমরা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।


প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২ মেয়েদের যোগ্যতা প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ 2022 প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ analysis বই প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ কোন জেলায় কতজন নিবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রবেশপত্র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পাস নম্বর.jpg

পুরোনো নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ শতাংশ শিক্ষক নারী। নিয়োগের ক্ষেত্রে এতোদিন তাদের (নারী) শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হতো উচ্চ মাধ্যমিক। এখন যোগ্যতা বাড়িয়ে স্নাতক করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে একটি খসড়া নীতিমালা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এমন তথ্য জানা গেছে।


প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২ পরীক্ষার যোগ্যতা

একটা সময় না প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে নারী প্রার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আবেদন করতে পারলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে নারী ও পুরুষ উভয়কেই স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের CGPA সহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রীধারী হতে হবে।


সহজভাবে বলতে গেলে আপনি যদি অনার্স বা ডিগ্রী পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের CGPA পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, তবে আপনি প্রাইমারি শিক্ষক হতে আবেদন করতে পারবেন। বয়সের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ প্রার্থীদের সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।


সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০শতাংশ বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া নারী-পুরুষ সবারই শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে স্নাতক বা সমমান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গ্রেড দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় নিয়োগের ক্ষমতা সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আওতায় চলে যায়।


এতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি পিএসসির এখতিয়ারভুক্ত করা হয়। এই কারণে ২০১৩ সালের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজন পরে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধিমালাটি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করে। কমিটি সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।


প্রস্তাব অনুমোদনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, `প্রস্তাবিত বিধিমালাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে (২০১৩ সালের বিধিমালা অনুযায়ী) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর নূ্যনতম যোগ্যতা ছিল স্নাতক বা সমমান। আর নারীর ক্ষেত্রে নূ্যনতম যোগ্যতা ছিল এইচএসসি বা সমমান। নতুন বিধিমালায়, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই নূ্যনতম যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ করা হয়েছে।


জেনে নিন ইংরেজি শেখার উপায় সম্পর্কে

এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান শিক্ষক হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এবার তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এবিষয়ে সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, `২০ শতাংশ বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে নতুন বিধিমালায়।


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো সরাসরি। আর প্রধান শিক্ষক পদে ৩৫ শতাংশ সরাসরি এবং ৬৫ শতাংশ পদ সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করা হতো। কিন্তু বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে এ মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে পিএসসির মাধ্যমে। আর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সরাসরি। তাই ২০১৩ সালের বিধিমালা সংশোধন করে নতুন বিধিমালা করে এবিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।


এদিকে, `চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প`-এর আওতায় আগামী বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচ হাজার ১০৬ জন সঙ্গীত ও শরীরচর্চা বা ক্রীড়া বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন, সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর প্রক্রিয়া হিসেবে প্রকল্পের আওতায় আপাতত অল্প সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


প্রাথমিক বিদ্যালয় জরিপ-২০১৭ অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০১টি। এসব স্কুলে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষক কর্মরত, যার মধ্যে নারী শিক্ষক তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৬৩ জন।


প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাজারে অসংখ্য বই আছে, তাদের মধ্যে যেটা ভালো মনে করেন সেটা পড়তে পারেন (চাইলে প্রফেসর পড়তে পারেন বা অন্যকোনটা)। বিগত সময়ের সকল প্রশ্নের সমাধান করলে আপনার প্রস্তুতি ৮০% সম্পন্ন হয়ে যাবে। এছাড়া ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের উপর ভালো দখল রাখুন।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post