জেনে নিন সেহেরিতে কী খাবেন

 জেনে নিন সেহেরিতে কী খাবেন


প্রচুর পানি, তবে একবারে নয়: যেহেতু গরম বেশি, দিনটাও বেশ বড়, তাই সেহরিতে বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে দিনজুড়ে শরীরে পানির চাহিদা মিটবে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গ্রীষ্মের গরমে সুস্থ থাকতে হলে  দুই লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। তবে সেহরিতে একবারেই দুই লিটার পানি পান করতে হবে না। সেটা সম্ভবও নয়।  বিরতি দিয়ে একটু পর পর কয়েক গ্লাস পানি পান করুন। বাকিটা ইফতারের পর।


সেহেরি শব্দের অর্থ কি সেহেরির সময় ২০২১ ইফতারের সময়সূচি ২০২২ ইফতারের সময় সূচি ২০২১ বাংলা সেহেরী আজকের ইফতারের সময় চট্টগ্রাম ২০২১.jpg

যেসব খাবার প্রচুর পরিমাণ আঁশসমৃদ্ধ সেগুলো শোষণ করে নিতে শরীর বেশি সময় নেয়। ফলশ্রুতিতে রোজা রাখা অবস্থায় অতিরিক্ত সময়ের জন্য শরীর থাকে শক্ত সামর্থ্য এবং খিদে পায় কম। কলা, আম, গাজর, আপেল, বাদাম, ডাল হতে পারে আঁশ সমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ।


রমজানের আমল সমূহ জেনে নিন


রাতের খাবার কিছুটা হালকা ও সহজে হজম হয়, এমন হওয়া উচিত। তাই ভাতের সঙ্গে সবজি বেশি থাকা চাই।  যেমন- লাউশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদির তরকারি, এক টুকরা বড় মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। তবে কম মসলা দিয়ে রান্না করা মাছ বেশি উপকারী।


সেহরিতে পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি মনে করেন সেহরিতে প্রচুর খেলে দিনজুড়ে ক্ষিদে লাগবে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। সেহরিতে চর্বি বাদ দিয়ে আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে দিনজুড়ে শরীরে শক্তি অনুভব করবেন।


শুধু রমজান নয়, সবসময়ের জন্যই উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার হলো খেজুর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর পছন্দ করতেন ও অন্যদের খাওয়ার উপদেশ দিতেন। খেজুরে আছে কপার, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এতে ভিটামিন কে-ও আছে। খেজুর প্রাকৃতিক গ্লুকোজেরও উৎস।


সেহরিতে ভাত, রুটি, মসুর ডাল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাবেন। শর্করা ও আমিষজাতীয় খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেক সময় লাগে। তাতে ক্ষুধা কম হয়।


সেহরির সময় শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাবার খাবেন। সেহরির খাবার তালিকায়ও রাখুন ভাত, সবজি, ডাল, মাছ বা মাংস। শেষ পাতে খেতে পারেন মিষ্টি জাতীয় খাবার।


খাবার পরে কিছুক্ষণ হাঁটবেন। এরপর পানি পান করবেন। সেহরির সময় শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ গ্লুকোজ মিশিয়ে পান করুন।


ইতি কথা

অতিরিক্ত তেল মসলাদার খাবার খাবেন না। খাবার রান্নার সময় অল্প তেল ব্যবহার করবেন। রেড মিট বাদ দিয়ে এসময় মুরগীর মাংস ঝোল করে খেতে পারেন। বিরিয়ানি, তেহারির মত গুরুপাক খাবার পরিহার করুন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তার মিষ্টি খাবার খাবেন না। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের রোগীরা গ্লুকোজ মেশানো পানি খাবেন না। আল্লাহ আপনাকে রমাদান মোবারক ভালোভাবে কাটানোর তৌফিক দিক।


হিজাব নারীর ব্যক্তিগত অধিকার: প্রিয়াঙ্কা


*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post