চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারিতে কি খাবো
ইফতারের সময় খাদ্য তালিকায় মুখরোচক ভাজাপোড়া নয় বরং পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে এবং পরিমিত আহার করতে হবে। শরীরের চাহিদার থেকে খাবারের পরিমাণ কম বা বেশি কোনোটিই ভালো নয়।
চলুন জেনে নেই রমজান মাসে ইফতার কী খাবেন ও কী খাবেন না:
ইফতারিতে যা খেতে হবে
ইফতার শুরু হোক বিশুদ্ধ পানি, চিনি আর লেবুর শরবত দিয়ে। এটি আপনার পানিশূন্যতা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি দেবে। সারা দিনের ক্লান্তি উপশম করবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পানীয় পেট ঠান্ডা রাখবে। তার পর কলা, আমসহ সব ধরনের মৌসুমি ফল দিয়ে খাবার শুরু করুন। পাশাপাশি খেজুর রাখুন।
ইফতারে কাঁচা সবজি, বিশেষ করে শসা, টমেটো, গাজর, ক্ষীরা, কাঁচা ছোলাও খেতে পারেন। এসব তাজা সবজিতে ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। এগুলো পানির ঘাটতি দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চিড়া, দই, কলা ইফতারের জন্য খুব ভালো। এটি শর্করা, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে খাবার হজম, পরিপাক ও বিপাকে সাহায্য করে।
ইফতারে ডিম হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এ ছাড়া বাসায় বানানো মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন।
ইফতারিতে খেজুর বা খুরমা, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, বুট, ফরমালিন অথবা ক্যালসিয়াম কার্বাইডমুক্ত মৌসুমি ফল থাকা ভালো। কারণ ফলে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।
ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং সহজে তা হজম হয়। রুচি অনুযায়ী বাসায় রান্না করা নুডলসও খেতে পারেন। বেশি ভাজি ভূনা তেহারি, হালিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে বদহজম হতে পারে।
রুচি পরিবর্তনের জন্য দু-একটা জিলাপি খেতে পারেন। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন রমজানে পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণমতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাবেন।
ইফতারিতে যা খাওয়া যাবে না
বাজার থেকে মুখরোচক খাবার কেনার আগে দেখে নিন তা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে কিনা। ভেজাল তেল, বেসন ও কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে কিনা সেদিকে নজর দেয়া উচিত। যে তেলে ভাজা হয় সেই তেল একবারের বেশি ব্যবহার উচিত নয়।
কারণ একই তেল বার বার আগুনে ফোটালে কয়েক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হয়। যেমন- একই তেল বার বার ব্যবহৃত হলে তা থেকে পলি নিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। যার মধ্যে বেনজা পাইরিন নামক ক্যান্সার হতে পারে এমন পদার্থের মাত্রা বেশি থাকে।
তাছাড়া অপরিষ্কারভাবে ইফতারি তৈরি করলে পেটের পীড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য যত্রতত্র খোলা খাবার না খাওয়াই উচিত।
ইতি কথা
রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাবার নির্বাচন, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছা ও আনুগত্য। কিছু নিয়ম, নীতি ও পরামর্শ অনুসরণ করলে সুস্থভাবেই রোজা পালন করা যায়।