শবে-বরাতের নামাজ
হাদিসে এসেছে- এ রাতে সেসব নবজাতকদের নাম লেখা হয়, যারা এবছর জন্ম নিবে। এবছর কারা মৃত্যুমুখে পতিত হবে তাদের নামও লেখা হয়। এরাতে বান্দাদের এক বছরের রিযিকের ফয়সালা করা হয়। (বায়হাকী-৫৩০, মেশকাত-১৩০৫)
হাদিসে এসেছে- যখন অর্ধ শাবান আসবে, সে রাতে তোমরা নামাজ পড়ো। আর পরের দিন রোজা রাখো। কেননা, ঐ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন, এবং বলতে থাকেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আছে কি; আমি ক্ষমা করে দেবো। কোনো রিযিকপ্রার্থী আছে কি;নযাকে আমি রিযিক দিবো। আছে কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি; যার বিপদ দূর করে দিবো। এভাবে আরো অনেক ব্যক্তিকে ডাকেন যাবত না ফজর হয়। (ইবনে মাজা-১৩৮৮, মেশকাত-১১৫, তারগিব-২৪২, ফাজায়িলুল আওকাত লিল বাইহাকি-১২২, কানযুল উম্মাল-২১৪)
হাদিসে এসেছে-
আয়েশা রাযি: বলেছেন,"একদা রাসুল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম রাতে উঠে নামায পড়তে লাগলেন। এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে ,আমি ভাবলাম তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ অবস্থা দেখে আমি উঠে তাঁর আঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাতে স্পন্দন ছিলো।
আমি ফিরে এলাম স্বীয় স্থানে। তিনি সেজদা হতে মাথা উঠালেন এবং নামাজ শেষ করে বললেন, হে আয়েশা! কিংবা হে হুমায়রা! তুমি কি ভেবেছো আল্লাহর নবী তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি বললাম: না, ইয়া রাসুল্লুল্লাহ। আল্লাহর কসম! আমি ভেবেছিলাম, এতো দীর্ঘ সেজদার কারণে আপনি ইন্তেকাল করেছেন। রাসুল্লুল্লাহ বললেন: তুমি জানো এটা কোন রাত? এটা শাবান মাসের ১৫ই তারিখ।
এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার স্বীয় বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান। ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করেন। রহমতপ্রত্যাশীদের ওপর রহমত করেন। হিংসুকদের স্বীয় অবস্থায় রাখেন। (বায়হাকি শুআবুল ঈমান-৩৮৩৫)